৭ লক্ষ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ দিনাজপুরে
![]() |
বড় মাঠ দিনাজপুর |
দিনাজপুর: দেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ এখন দিনাজপুর শহরের গোর-এ শহিদ বড় ময়দান। মাঠটিতে ৭ লক্ষ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে। ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দিনাজপুর শহরের গোর-এ শহিদ বড় ময়দানে ৭ লক্ষ মুসল্লি এক সাথে ঈদের জামাত আদায়ের বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।
গতবছর ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হলেও, মোগল স্থাপত্যের আদলে তৈরি এই ঈদগাহ মাঠের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির অক্লান্ত পরিশ্রম ও মহৎ পরিকল্পনার ফসল এই ঈদগাহ মাঠ। জেলা পরিষদের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই ঈদগাহের মেহরাবের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট এই ঈদগাহে রয়েছে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার। তবে মাঝের গেট দুটি ৪৭ ফুট করে। এতে খিলান আছে ৩২টি।
ঈদগাহ মিনারটি তৈরিতে রড, সিমেন্ট, বালু ছাড়াও সিরামিক টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যার পর থেকেই মিনারে বৈদ্যুতিক আলো ঝলমল করতে থাকে। ঈদগাহ মাঠকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করে গড়ে তুলতে অনেক কিছু করা হবে জানিয়ে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, মাঠের দুই ধারে রাস্তা ও স্থায়ী অজুখানার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই ঈদগাহ মাঠের মিনার নির্মাণে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
ঈদগাহ মিনারটি তৈরিতে রড, সিমেন্ট, বালু ছাড়াও সিরামিক টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যার পর থেকেই মিনারে বৈদ্যুতিক আলো ঝলমল করতে থাকে। ঈদগাহ মাঠকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করে গড়ে তুলতে অনেক কিছু করা হবে জানিয়ে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, মাঠের দুই ধারে রাস্তা ও স্থায়ী অজুখানার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই ঈদগাহ মাঠের মিনার নির্মাণে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
হুইপ ইকবাল বলেন, এই ঈদগাহে সাত লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পারবে। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদগাহের আয়তন মাত্র সাত একর। আর দিনাজপুর গোর-এ শহিদ বড় ময়দানের আয়তন সাড়ে ১৪ একর। সে হিসাবে এটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান বলা যেতে পারে। গত ঈদুল ফিতরে প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা কার্ডে এই ঈদগাহের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
ঈদগাহ মাঠটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এরই মধ্যে জনসভার জন্য স্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্টেশন ক্লাবটিও দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে। এছাড়া ঈদগাহ মাঠের এক পাশে রয়েছে তেভাগা আন্দোলনের পথিকৃৎ কিংবদন্তি কৃষক নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশের সমাধিস্থল।
No comments
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানাতে কমেন্টস করুণ-